আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কেনো শিখবো?


বর্তমান সময়ের একটি ট্রেন্ডিং কোর্স হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। অনেকেই বুঝে বা না বুঝে ডিজিটাল মার্কেটিং কে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে এতে কেও ভাল ফলাফল পাচ্ছে আবার অনেকে পাচ্ছে না। কোন কিছু কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার আগে তা সম্পর্কে যেনে নেওয়া খুবই জরুরী। অনেকে আবার পার্ট টাইম জব হিসেবে এই পেশাকে বেছে নিচ্ছেন কিন্তু সঠিক গাইডলাইন এর অভাবে অল্প কিছুদিন পর আশা হারিয়ে এই কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকে চিন্তা করছেন ফ্রিল্যান্সিং কে পেশে হিসেবে নিবেন কি না?? তাদের উদ্দেশ্যেই আমরা  এই কোর্সটির উপর আলোকপাত করে বোঝার চেস্টা করবো, আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কেনো শিখবো?


একটি গতিশীল, প্রশস্ত এবং বৈচিত্রপূর্ণ ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার সুযোগঃ

এক ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে দিচ্ছে একটি গতিশীল, প্রশস্ত ও বৈচিত্রপূর্ন ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার সুযোগ। এই কোর্সেই আপনার পাবেন অনেক কিছু শিখার সুযোগ।
যেমনঃ
* সিপিএ মার্কেটিং
* এফ্লিয়েড মার্কেটিং 
* ইমেইল মার্কেটিং
*ফেসবুক মার্কেটিং
*সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং
* এস ই ও
আরো কত কি???? এতগুলো ব্যাপার আয়ত্বে থাকার ফলে আপনার কাজে থাকবে অনেক গতিশিলতা, দেখা এক কাজ প্রতিদিন করে আপনি বোরিং হবেন না। একেক দিন একেকটা নতুন কাজ মানে হলো প্রতিদিন নতুন ও বৈচিত্রময় জীবন। এবং সম্পূর্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনার দক্ষতার কারনে আপনার কাজ করার প্লাটফর্ম হবে আরো প্রশস্ত।


কমার্সের জন্য উপযুক্ত মাধ্যমঃ 

যারা কমার্সের,বিবিএ বা এমবিএ এর ষ্টুডেন্ট তাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে দক্ষতা অর্জনের এক উপযুক্ত মাধ্যম।আমরা জানি মার্কেটিং ষ্ট্রাটেজি অনেক বেশি পরিবর্তন হয়, তাই এই ডিজিটাল যুগে নিজেকে এগিয়ে রাখার জন্য একজন আদর্শ ছাত্রের উচিত এই কোর্সটি করা। কেননা একজন ডিজিটাল মার্কেটার সব সময় আপডেট মার্কেটিং ষ্ট্র্যাটেজির ব্যাপারে অবগত থাকেন। 
তাছাড়া একটি ভাল কোম্পানিতে চাকুরীর জন্য আবেদন করলে সেখানে অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি মুল্যায়ন করা হয়। কিন্তু ছাত্র থাকা অবস্থায় অভিজ্ঞতা অর্জন করা অনেক কস্টকর বটে, তবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শিখে এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করে আপনার অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে করা তুলতে পারেন পরিপূর্ন। যা চাকুরীর প্রতিযোগিতায় আপনাকে এগিয়ে রাখবে কয়েক ধাপ।


ভাল বেতন ও উপযুক্ত সম্মানঃ 

বর্তমানে চাকুরীর বাজারে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের ব্যপক চাহিদা। মানুষ এখন অনেক বেশি আধুনিক ও সচেতন। তারা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকেই বেশি ঝুকছে। এখন আমরাও দেখতে পাই অনলাইন প্রতিষ্ঠান, ব্যাবসা, বানিজ্য খুব ভালই ফর্মে আছে, এর কারন ডিজিটাল মার্কেটিং। তাই চাকুরীর প্রতিযোগীতায় ভাল বেতন ও উপযুক্ত বেতন লাভের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং জানার কোনই বিকল্প নেই।


নিজস্ব ব্যাবসায় ও ক্রিয়েটিভ প্রজেক্ট চালু করাঃ

আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন আছে নিজে কিছু করার, আর এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ইচ্ছা থাকে নিজের ব্যাবসায় চালু করা। আর এখানকার ব্যাবসায় যখন গ্রাহকের সন্তুষ্টি, প্রচার প্রসার ও চাহিদার দিকে মুল্যায়ন করে করতে হয় অতএব ভাল ব্যাবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মোটেও বিকল্প নেই।
তাছাড়া আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা খুব ক্রিয়েটিভ হয়, তারা বিভিন্ন রকম লেখা, কবিতা, গল্প ও ভিডিও বানাতে পারে। কিন্তু উপযুক্ত মাধম্যমের অভাবে এই প্রতিভা থাকা সত্বেও তারা অনলাইন থেকে আয় করতে পারে না। আপনার এই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার সুযোগ করে দেয় ডিজিটাল মার্কেটিং


পারিবারিক ব্যাবসায় সহায়তাঃ

দেখা যায় আমাদের মাঝে অনেক ব্যাক্তি এমন আছে যারা পারিবারিক ভাবে ব্যাবসায় এর সাথে জড়িত। পুর্ব পুরুষের ব্যাবসায় এর কথাই এখানে বলা হচ্ছে। এক সময় ভাল চললেও দিন দিন এই ব্যাবসায় এর অবস্থা খুবই খারাপ, তথাপি পুর্ব পুরুষের ব্যবসায় অনেকে ছাড়তে চান না। কিন্তু  একই ব্যবসায় অপেক্ষাকৃত নতুন ব্যাক্তিরা খারাপ প্রডাক্ট  দিয়েও অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে আর এর মূল কারন হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ঠিক একই ভাবে কেও যদি তার পারিবারিক ব্যাবসায় এর উপর ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফর্মুলা কাজে লাগায় তাহলে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হারানো ঐতিহ্য এবং মুনাফা দুটোই পাবে। অর্থাত পারিবারিক ব্যবসায় দিয়ে মুনাফা অর্জন করার সেরা পন্থা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং



ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করাঃ

আমরা মুলত ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে থাকি আউটসোর্সিং করার জন্যই। যদি বলি চাকুরীর পাশাপাশি এক্সট্রা আয় করা দরকার তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত, ছাত্রাবস্থায় পার্ট টাইম জব থেকে ফ্রিল্যান্সিং খুবই ভাল চিন্তা হতে পারে আবার অনেকে ফুল টাইম জব হিসেবেও ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মুল উদ্দেশ্যগুলোর মাঝে ফ্রিল্যান্সিং একটি। 
এবার আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে সহায়তা করে। উন্নত বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং টা ব্যাবসায় খাতে ও চাকুরী খাতে বেশি ব্যবহার করা হলেও আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং খাতের জন্যই সবাই এই কোর্সটা করে থাকে। তথাপি আমাদের দেশে খুব কম প্রতিষ্ঠান আছে যারা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও যত্নের সাথে এই কোর্স টি করিয়ে থাকে। 

আসুন এবার জানার চেষ্টা করি ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়ঃ

* এই কোর্সটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের শিখিয়ে থাকি, এফ্লিয়েড মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং যা আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির প্রমোশন ও প্রোডাক্ত সেলের জন্য ভাল এমাউন্ট পে করে থাকে।
* আমরা আপনাদের শিখাবো ব্লগিং, ইউটিউব মার্কেটিং এর মতো কনটেন্ট নির্ভর কাজ গুলো যার মাধ্যমে আপনি গুগল থেকে পেমেন্ট পেয়ে থাকবেন।
* এছাড়াও আপনারা শিখবেন ফেসবুক মার্কেটিং যার মাধ্যমে আপনারা ফেসবুক থেকে আর্ন করতে পারবেন।
* ইমেইল মার্কেটিং, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এস-ই-ও ইত্যাদি শিখার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে তা সম্পাদন করে আর্নিং করতে পারবেন।
* আরো আছে সিম্পল এপ্স বানানো, এপ্স থেকে আয় করা, সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং, মোবাইল মার্কেটিং কত কি!!!!

তাই বলতেই হয়, একটি সঠিক ও পারফেক্ট কোর্স যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে তা হলো এই ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনার যদি মনে হয় উপরের যে কোন একটি সুবিধা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে তাহলে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। এবং এই কোর্সটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে এগিয়ে থাকুন প্রতিযোগীতার জিবনে।

লেখকঃ

No comments:

Post a Comment